মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, তিনি বাণিজ্য হুমকি দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, তার আরোপিত বিতর্কিত শুল্কনীতিই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করায়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘শুল্কের কারণে’ ‘এখন শান্তির মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে—যা থেকে ওয়াশিংটন ‘শত শত বিলিয়ন ডলার’ আয় করছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আমার কাছে শুল্কের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে সাতটির মধ্যে অন্তত চারটি যুদ্ধে এখনো আগুন জ্বলত।’
তিনি যোগ করেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানকে দেখুন—তারা যুদ্ধের মুখোমুখি ছিল। সাতটি বিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল… আমি ঠিক কী বলেছিলাম তা বলতে চাই না, কিন্তু যা বলেছিলাম তা ছিল অত্যন্ত কার্যকর… আমরা শুধু শত শত বিলিয়ন ডলার আয় করিনি, বরং শুল্কের কারণেই আমরা শান্তিরক্ষকও হয়েছি।’
এই প্রথম নয়, এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন দাবি করেছেন।
চলতি বছরের ৩০ মে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দেন, ‘দীর্ঘ রাতের’ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। এরপর তিনি একাধিকবার দাবি করেছেন, তিনি ‘নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে সহায়তা করেছেন।’
এরপর আগস্টে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, দুই এশীয় প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি বাণিজ্যিক হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যচুক্তি করতে চাই না… তোমরা তো প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছো… আমি বলেছিলাম, কাল আমাকে ফোন করো, কিন্তু আমরা তোমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করব না, বরং এমন শুল্ক বসাব তোমাদের মাথা ঘুরে যাবে’।’
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, তার মোদির সঙ্গে ‘পাঁচ ঘণ্টার’ আলোচনার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান শান্তিচুক্তিতে পৌঁছে যায়।
তবে ভারত দাবি করে, যুদ্ধবিরতি বা গোলাগুলি বন্ধের বিষয়ে সমঝোতা হয় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজিএমও) ও ভারতের সমপর্যায়ের কর্মকর্তার সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে।
প্রথমে পাকিস্তান ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে নেয় এবং ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করে।