ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিতে দেশীয় বীমার নতুন সুযোগ Logo জবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ বৃত্তির আবেদন শুরু ৯ অক্টোবর থেকে Logo নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক Logo থানার গেটের বাম দিকে রাস্তায় ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পাই Logo ইউনেস্কোর সভাপতি পদে বিজয় বাংলাদেশ ‘সফট পাওয়ারে’ বিশ্বে অবস্থান দৃঢ় করেছে: শিক্ষা উপদেষ্টা Logo বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়ার নতুন কমিটি Logo রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্ব ‘অমর’: কিম জং-উন Logo মিস ইউনিভার্সে প্রথমবার আমিরাতের তরুণী মরিয়ম Logo জেনে নিন কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়? Logo বিসিবি’র কোন কমিটির দায়িত্ব পেলেন কারা

আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা ফাঁস!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচর শেখ হাসিনাসহ তার শীর্ষ নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালানোর পর বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। এবার তাদের টার্গেট দেশের অর্থনীতি। তারা অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে দুই লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপকর্মে মদদ দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষভাবে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর ব্যবস্থায় নকল মুদ্রা তৈরি করে দিচ্ছে তারা।

এছাড়া বাংলাদেশের টাঁকশালে ব্যবহৃত মেশিন ও যন্ত্রাংশ ওই দেশেই তৈরি। সেই মেশিনও এ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে জাল মুদ্রায় ব্যবহৃত কাগজ এবং বাংলাদেশের নোটের কাগজ একই হওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে। বিশাল অঙ্কের জাল নোট তৈরিতে সন্দেহভাজনদের মধ্যে আছেন টাঁকশালে টাকা তৈরির সাবেক ডিজাইনারসহ আওয়ামী কারিগররা। এরা গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে লম্বা সময় নিয়ে জাল টাকা ছাপিয়েছে। এ ধরনের নোট নিজস্ব গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার কাতারভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান তার ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। এটি ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। তারা এই অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে যুগান্তরকে জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের টাঁকশালে ছাপা নোটের আদলে নিখুঁতভাবে তৈরি কাগজের জাল মুদ্রাগুলো পার্শ্ববর্তী দেশে তৈরির পর গোয়েন্দারা চোরাপথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর বিভিন্ন হাত ঘুরে এগুলো চলে যাচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। জাল নোট তৈরি এবং দেশে পাঠানো চক্রে গোয়েন্দাদের সঙ্গে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরাসরি জড়িত। দুপক্ষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চক্রটি নতুন একটি চেইন তৈরি করেছে। সেখানে ডিলার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সবাই তাদের আদর্শের লোক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বুধবার বিকালে যুগান্তরকে জানান, প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সত্য হলে এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব বেশি কিছু করার নেই। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। আর সাধারণ মানুষকেও অনেক সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে পুরোনো টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। বাজারে শুধু নতুন টাকা দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিতে দেশীয় বীমার নতুন সুযোগ

আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা ফাঁস!

আপডেট সময় ১১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

স্বৈরাচর শেখ হাসিনাসহ তার শীর্ষ নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালানোর পর বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। এবার তাদের টার্গেট দেশের অর্থনীতি। তারা অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে দুই লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপকর্মে মদদ দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষভাবে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর ব্যবস্থায় নকল মুদ্রা তৈরি করে দিচ্ছে তারা।

এছাড়া বাংলাদেশের টাঁকশালে ব্যবহৃত মেশিন ও যন্ত্রাংশ ওই দেশেই তৈরি। সেই মেশিনও এ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে জাল মুদ্রায় ব্যবহৃত কাগজ এবং বাংলাদেশের নোটের কাগজ একই হওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে। বিশাল অঙ্কের জাল নোট তৈরিতে সন্দেহভাজনদের মধ্যে আছেন টাঁকশালে টাকা তৈরির সাবেক ডিজাইনারসহ আওয়ামী কারিগররা। এরা গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে লম্বা সময় নিয়ে জাল টাকা ছাপিয়েছে। এ ধরনের নোট নিজস্ব গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার কাতারভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান তার ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। এটি ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। তারা এই অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে যুগান্তরকে জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের টাঁকশালে ছাপা নোটের আদলে নিখুঁতভাবে তৈরি কাগজের জাল মুদ্রাগুলো পার্শ্ববর্তী দেশে তৈরির পর গোয়েন্দারা চোরাপথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর বিভিন্ন হাত ঘুরে এগুলো চলে যাচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। জাল নোট তৈরি এবং দেশে পাঠানো চক্রে গোয়েন্দাদের সঙ্গে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরাসরি জড়িত। দুপক্ষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চক্রটি নতুন একটি চেইন তৈরি করেছে। সেখানে ডিলার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সবাই তাদের আদর্শের লোক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বুধবার বিকালে যুগান্তরকে জানান, প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সত্য হলে এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব বেশি কিছু করার নেই। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। আর সাধারণ মানুষকেও অনেক সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে পুরোনো টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। বাজারে শুধু নতুন টাকা দেওয়া হচ্ছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471