অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হওয়া এ শাটডাউনে সরকারের কিছু সংস্থা ছাড়া তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ সংস্থা ও তাদের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চললে ঝুঁকিতে পড়বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন সেবার মতো খাতগুলো।
দীর্ঘ ৬ বছর পর দেশের ইতিহাসে ২১ তম ফেডারেল শাটডাউনের মুখোমুখি হল অ্যামেরিকা।
অর্থাৎ পহেলা অক্টোবর দেশটির নতুন অর্থবছরের সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো আংশিক চালু কিংবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শাটডাউনের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার জন সরকারি কর্মচারীকে ‘আবশ্যক নয়’ উল্লেখ করে অবৈতনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, পূর্ববর্তী শাটডাউনের চেয়ে চলতি অর্থবছরের এ শাটডাউন অনেকটাই আলাদা।
কারণ এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আইনপ্রণেতারা শাটডাউন এড়াতে আইন পাস না করা পর্যন্ত কর্মী ছাটাই চলতে থাকবে। অনেক কর্মীকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হবে, এমনটাও জানান প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজের বাজেট পরিচালক রাস ভুট গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা ফেডারেল সরকারের পরিধি কমানোর চেষ্টা করব।
অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হওয়া এ শাটডাউনে সরকারের কিছু গুরত্বপূর্ণ সংস্থা ছাড়া বেশিরভাগ সংস্থা আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চললে ঝুঁকিতে পড়বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন সেবার মতো খাতগুলো।
প্রথম ধাপে চালু থাকা সংস্থার কার্যক্রম
ফেডারেলের সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা প্রদানের মতো কার্যক্রমগুলো সচল থাকবে। তবে এ সংস্থার ১২ শতাংশ কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে যাবতীয় প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম।
বয়স্ক , দরিদ্র জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য ভাতা ও বিশেষ সেবা প্রদান করা সংস্থাগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রমও আগের মতো সচল থাকবে।
এছাড়া আইন প্রয়োগকারী গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-ডিইএ, সীমান্ত রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর কাজ আগের মতোই বহাল থাকবে।
এসময় সামরিক বাহিনীর ২০ লাখ সদস্য বিনা বেতনে কাজ করবেন বলে জানিয়েছে অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে ফেডারেল বিমান চলাচল সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানায়, সংস্থার ১৩ হাজার কর্মচারী অচলাবস্থা চলা পর্যন্ত বিনা বেতনে কাজ করবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি সম্পাদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমও পুরোপুরি বহাল থাকবে।
এছাড়াও শাটডাউন চলাকালীন সময়ে পুরোদমে খোলা থাকবে ডাকবিভাগগুলো।
আংশিকভাবে চালু ও বন্ধ থাকা সংস্থা
ফেডারেল বিচারব্যবস্থা জানিয়েছে, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তহবিল জমা আছে। পরবর্তীতে অচলাবস্থার মধ্যে পড়তে হতে পারে।
সরকারের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনাকারী সংস্থা তাদের ২৪ শতাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠাবে। শাটডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঋণ প্রদান সেবা সহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো বন্ধ থাকবে।
অ্যামেরিকার জিডিপি, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া সংস্থার প্রকাশনা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এছাড়া উদ্যান, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।