শরীরের অন্দরে কোনো অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। কিডনির অসুখকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। বিকল হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো নোটিশ না দিয়েই কাজ চালিয়ে যাবে। চুপিসারে এই রোগ আমাদের শরীরে বাসা বেঁধে আমাদের শেষ করে দেয়।
শরীরের ভেতরে এক ধরনের ফিল্টার হিসেবে কাজ করে কিডনি—রক্ত পরিশোধন করে, টক্সিন বা বর্জ্য বাইরে বের করে, লবণের ভারসাম্য ঠিক রাখে, এমনকি রক্ত তৈরি করতেও সাহায্য করে। কিন্তু কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে আমাদের শরীর আগেভাগেই কিছু ইশারা দিতে শুরু করে।
কিডনির সমস্যা হলে শরীরে ব্যথা সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় টের পাওয়া যায়। তবে এটা সমস্যার ধরন ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।
কিডনির সমস্যায় ব্যথার সাধারণ স্থানগুলো:
পিঠের উপরের অংশ (ফ্ল্যাঙ্ক পেইন)
মেরুদণ্ডের দু’পাশে, কোমরের উপরের অংশ (পাঁজরের নিচে)
একদিকে বা দু’দিকেই হতে পারে
কোমরের নিচে
পেটের পাশের অংশে, বিশেষ করে সংক্রমণ বা ফোলাভাব থাকলে
তলপেট ও মূত্রথলিতে, কিডনিতে পাথর নেমে এলে
কুঁচকি ও উরুতে, কিডনি স্টোন থাকলে ব্যথা নেমে যায়
অন্য উপসর্গ যা কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে:
প্রস্রাব করতে জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাব বা কম প্রস্রাব হওয়া
প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা দেখা
হাত-পা বা চোখের চারপাশে ফোলা
জ্বর, বমি বা ঠান্ডা লাগা (সংক্রমণের ক্ষেত্রে)।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কিডনির সমস্যার শুরুর পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ব্যথা বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে পরীক্ষা করানো উচিত।