গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ সব পানি সম্পর্কিত ইস্যু যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মাধ্যমে আলোচনার পথেই এগোবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশি কূটনৈতিক সংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করে
বিক্রম মিশ্রি বলেন, গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি এখনো বহাল রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সব আলোচনা জেআরসির কাঠামোর মধ্যেই চলবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি যৌথ নদী কমিশন রয়েছে, যার আলোচ্যসূচিতে থাকা সব বিষয় নিয়েই দুই পক্ষ কাজ করছে।সপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে মিশ্রি বলেন, তিস্তা নিয়ে ভারতের অবস্থান আগের সরকারের সময় যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আমরা প্রস্তুত।বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও উষ্ণ। আমরা সবসময় এই সম্পর্ককে ইতিবাচক ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি, যেখানে মানুষের স্বার্থই প্রধান।
মতবিনিময় সভায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধির জয়সওয়াল, যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) বি. শ্যাম, ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি করে। দুই দেশের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতা জোরদার করতে গঠিত হয়েছে জয়েন্ট রিভারস কমিশন (জেআরসি)। কয়েক মাস আগে কলকাতায় জেআরসির ৮৬তম বৈঠকে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর পানিবণ্টনে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। ২০১১ সালেই এর একটি খসড়া চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছিল।