বিধিনিষেধ আরোপের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা কমেছে। ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। খবর : এএফপির।
গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে টানা ১৫তম বারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা কমেছে। একই সঙ্গে মত প্রকাশে স্বাধীন হিসেবে চিহ্নিত অনেক দেশেই এই পতন দেখা যাচ্ছে।
ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে (মে ২০২৫ পর্যন্ত) যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারনেট স্বাধীনতায় ১০০ স্কেলের মধ্যে ৭৩ স্কোর অর্জন করেছে, যা গত বছরের তুলনায় তিন পয়েন্ট কম। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই স্কোর সর্বনিম্ন।
এই পতনের কারণ হিসেবে অভিবাসন নীতি ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের সমর্থনে অনলাইনে মত প্রকাশের জন্য অনেককেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
অন্যদিকে জার্মানির স্কোরও তিন পয়েন্ট কমে ৭৪ হয়েছে। জার্মানির এই অবনতির জন্য ক্রমবর্ধমান স্ব-সেন্সরশিপ এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধকারী আইনগুলোর অতিরিক্ত প্রয়োগকে দায়ী করেছে ফ্রিডম হাউস।
প্রতিবেদনের সহলেখক কিয়ান ভেস্টেইনসন বলেন, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোতে দমন-পীড়ন বাড়ার পাশাপাশি, দুর্ভাগ্যবশত আমরা উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের গণতন্ত্রগুলিতেও পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখছি। এই দেশগুলোতে নাগরিক ক্ষেত্র সীমিত করার এবং বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্টের ওপর বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, ইন্টারনেট স্বাধীনতা হ্রাসের দিক থেকে কেনিয়া, ভেনেজুয়েলা ও জর্জিয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। তবে একটি ছাত্র বিদ্রোহের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়ায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বড় উন্নতি অর্জন করেছে, কারণ দেশটি অনলাইনে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
নিজস্ব সংবাদ : 




















