ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশের ২৯ জেলে-মাঝিসহ ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড Logo বিদেশি ফরেনসিক টিম দিয়ে জুলাই শহীদ শনাক্ত শুরু ৭ ডিসেম্বর : উপদেষ্টা আসিফ Logo দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা Logo আ.লীগের নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশকে বের করলো ইসি Logo বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি, শুরুতে ৮০০ সদস্য নিয়োগ Logo ট্রাইব্যুনালে যে রায়ই হোক, কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, অপেক্ষায় থাকতে হবে ২০ বছর Logo ঢাকাসহ ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন Logo অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo মালয়েশিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান, ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি আটক

দিনে কয়টি প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ? উত্তর জেনে এখনই সাবধান হন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

দেশের আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। গায়ে লাগছে শীতের ছোঁয়া। হঠাৎ আবহাওয়ার এ রদবদলে অনেকেই ভুগছেন সর্দি-কাশি, গলাব্যথা কিংবা জ্বরে। আর এসবের সহজ সমাধান হিসেবে ঘরে ঘরে সবাই হাত বাড়ান একটাই ওষুধের দিকে— প্যারাসিটামল। জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা— সব ক্ষেত্রেই যেন এ ওষুধ এক পরিচিত নাম। এমনকি ডেঙ্গু জ্বরেও চিকিৎসকরা প্রায়ই প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বহুল ব্যবহৃত ওষুধটি আসলে কতটা নিরাপদ? দিনে কতটা খাওয়া যেতে পারে? কিংবা অতিরিক্ত খেলেই বা শরীরে কী ঘটে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়কে এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র। তিনি বলেন, একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে ৬টি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই ওষুধ খাওয়া যায়। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ৬টি প্যারাসিটামল খাওয়ার দরকার পড়ে না। বরং দিনে ৪টি খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই অহেতুক অত্যধিক সংখ্যায় প্যারাসিটামল খাবেন না। আর চেষ্টা করুন জ্বর এলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার। জ্বর কমে গেলে বা জ্বর না এলে এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন, প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত সেবনে লিভার ফেইলিওর পর্যন্ত হতে পারে। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, দেশটিতে লিভার বিকলের অন্যতম প্রধান কারণ প্যারাসিটামলের ওভারডোজ। একই চিত্র পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রেও।

কখন খাবেন?

প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে খালি পেটে এই ওষুধ খাওয়া চলবে না। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পর প্যারাসিটামল জল দিয়ে গিলে নিন। তাতেই ওষুধ ঠিকঠাক কাজ করবে। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

প্রসঙ্গত, আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি-এর কম হয়, তাহলে প্যারাসিটামল ৫০০ খেতে পারেন। আর ওজন ৬০-এর বেশি হলে প্যারাসিটামল ৬৫০ খাওয়া জরুরি।

মেনে চলুন এসব নিয়ম​

জ্বর থেকে সেরে উঠতে চাইলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পাশাপাশি মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম-

১. প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন

২. হালকা সহজপাচ্য খাবার খান

৩. প্রতিদিনের পাতে শাক, সবজি এবং ফল রাখুন

৪. মাছ, মাংস, ডিমও থাকুক ডায়েটে

৫. মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন

৬. ধূমপান চলবে না

তবে এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি ৩-৪ দিনের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

বাংলাদেশের ২৯ জেলে-মাঝিসহ ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড

দিনে কয়টি প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ? উত্তর জেনে এখনই সাবধান হন

আপডেট সময় ০৩:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

দেশের আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। গায়ে লাগছে শীতের ছোঁয়া। হঠাৎ আবহাওয়ার এ রদবদলে অনেকেই ভুগছেন সর্দি-কাশি, গলাব্যথা কিংবা জ্বরে। আর এসবের সহজ সমাধান হিসেবে ঘরে ঘরে সবাই হাত বাড়ান একটাই ওষুধের দিকে— প্যারাসিটামল। জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা— সব ক্ষেত্রেই যেন এ ওষুধ এক পরিচিত নাম। এমনকি ডেঙ্গু জ্বরেও চিকিৎসকরা প্রায়ই প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বহুল ব্যবহৃত ওষুধটি আসলে কতটা নিরাপদ? দিনে কতটা খাওয়া যেতে পারে? কিংবা অতিরিক্ত খেলেই বা শরীরে কী ঘটে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়কে এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র। তিনি বলেন, একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে ৬টি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই ওষুধ খাওয়া যায়। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই ৬টি প্যারাসিটামল খাওয়ার দরকার পড়ে না। বরং দিনে ৪টি খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই অহেতুক অত্যধিক সংখ্যায় প্যারাসিটামল খাবেন না। আর চেষ্টা করুন জ্বর এলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার। জ্বর কমে গেলে বা জ্বর না এলে এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন, প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত সেবনে লিভার ফেইলিওর পর্যন্ত হতে পারে। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, দেশটিতে লিভার বিকলের অন্যতম প্রধান কারণ প্যারাসিটামলের ওভারডোজ। একই চিত্র পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রেও।

কখন খাবেন?

প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে খালি পেটে এই ওষুধ খাওয়া চলবে না। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পর প্যারাসিটামল জল দিয়ে গিলে নিন। তাতেই ওষুধ ঠিকঠাক কাজ করবে। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

প্রসঙ্গত, আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি-এর কম হয়, তাহলে প্যারাসিটামল ৫০০ খেতে পারেন। আর ওজন ৬০-এর বেশি হলে প্যারাসিটামল ৬৫০ খাওয়া জরুরি।

মেনে চলুন এসব নিয়ম​

জ্বর থেকে সেরে উঠতে চাইলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পাশাপাশি মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম-

১. প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন

২. হালকা সহজপাচ্য খাবার খান

৩. প্রতিদিনের পাতে শাক, সবজি এবং ফল রাখুন

৪. মাছ, মাংস, ডিমও থাকুক ডায়েটে

৫. মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন

৬. ধূমপান চলবে না

তবে এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি ৩-৪ দিনের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471