ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশের ২৯ জেলে-মাঝিসহ ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড Logo বিদেশি ফরেনসিক টিম দিয়ে জুলাই শহীদ শনাক্ত শুরু ৭ ডিসেম্বর : উপদেষ্টা আসিফ Logo দেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা Logo আ.লীগের নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশকে বের করলো ইসি Logo বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি, শুরুতে ৮০০ সদস্য নিয়োগ Logo ট্রাইব্যুনালে যে রায়ই হোক, কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, অপেক্ষায় থাকতে হবে ২০ বছর Logo ঢাকাসহ ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন Logo অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo মালয়েশিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান, ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি আটক

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন আঁচিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আঁচিল বা ত্বকের ছোট ছোট দানা অনেকের শরীরে দেখা দেয়। এটি সাধারণত ভয়ানক কিছু নয়, তবে চোখে পড়ে গেলে বা ব্যথা দেয় তখন অস্বস্তিকর হতে পারে। অনেকেই মনে করেন, আঁচিল দূর করার জন্য শুধুই ক্লিনিকে যেতে হবে, কিন্তু কিছু ঘরোয়া কৌশলও কার্যকর হতে পারে।

আঁচিল কেন হয়?

ডা. নাহিদ এ. আলি জানান, আঁচিল সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) সংক্রমণের কারণে হয়। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে তোয়ালে, গামছা বা রেজারের মাধ্যমে। শিশুদের আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে বড়রাও আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে না, তবে অনেক সময় এটি ব্যথা বা অস্বস্তি দিতে পারে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আঁচিল দূর করার কৌশল

শুকনা মরিচের সস: শুকনা মরিচ বেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দিন দুবার আঁচিলের ওপর লাগান, দুই সপ্তাহ ধরে চালান। এতে আঁচিল ছোট হতে থাকে এবং রং ফিকে হয়।

গরম পানি: এক পাত্রে পানি ফুটিয়ে আঁচিলের অংশ ততক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ ব্যথা না হয়। পরে ঠান্ডা কিছু প্রয়োগ করুন। দিনে তিনবার দুই সপ্তাহ ধরে করুন।

বেইকিং সোডা: এক কাপ পানিতে আধা চা-চামচ বেইকিং সোডা মেশান। তুলার বল ডুবিয়ে আঁচিলের ওপর ১৫ মিনিট রাখুন।

ডিম: ডিমের সাদা ও কুসুম মিশিয়ে আঁচিলের ওপর আলতোভাবে ঘষুন। দিনে দুবার দুই সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করুন। এই সময় আঁচিলের অংশে সাবান লাগানো যাবে না।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিকআঁচিলের ওপর পেঁয়াজ মাখুন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুনদিনে দুবার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করুনপ্রয়োজনে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন

ডাক্ট টেপ: বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডাক্ট টেপ কার্যকর। আঁচিলের ওপর টেপ ৩৫ দিন লাগিয়ে রাখুন। টেপের নিচের ত্বক নরম হলে ‘এমেরি বোর্ড’ বা ‘পুমাইস স্টোন’ দিয়ে আঁচিল কেটে ফেলা যায়। এরপর আবার টেপ লাগাতে হবে যতক্ষণ না আঁচিল পুরোপুরি চলে যায়।

টিপস

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আঁচিল সারাতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য রাখতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ও শরীর শুষ্ক রাখলে আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ঘরোয়া উপায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর, তবে যদি আঁচিল ব্যথা দেয়, দ্রুত বড় হয় বা সংক্রমণ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

বাংলাদেশের ২৯ জেলে-মাঝিসহ ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন আঁচিল

আপডেট সময় ০৩:৪৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

আঁচিল বা ত্বকের ছোট ছোট দানা অনেকের শরীরে দেখা দেয়। এটি সাধারণত ভয়ানক কিছু নয়, তবে চোখে পড়ে গেলে বা ব্যথা দেয় তখন অস্বস্তিকর হতে পারে। অনেকেই মনে করেন, আঁচিল দূর করার জন্য শুধুই ক্লিনিকে যেতে হবে, কিন্তু কিছু ঘরোয়া কৌশলও কার্যকর হতে পারে।

আঁচিল কেন হয়?

ডা. নাহিদ এ. আলি জানান, আঁচিল সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) সংক্রমণের কারণে হয়। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে তোয়ালে, গামছা বা রেজারের মাধ্যমে। শিশুদের আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে বড়রাও আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে না, তবে অনেক সময় এটি ব্যথা বা অস্বস্তি দিতে পারে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আঁচিল দূর করার কৌশল

শুকনা মরিচের সস: শুকনা মরিচ বেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দিন দুবার আঁচিলের ওপর লাগান, দুই সপ্তাহ ধরে চালান। এতে আঁচিল ছোট হতে থাকে এবং রং ফিকে হয়।

গরম পানি: এক পাত্রে পানি ফুটিয়ে আঁচিলের অংশ ততক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ ব্যথা না হয়। পরে ঠান্ডা কিছু প্রয়োগ করুন। দিনে তিনবার দুই সপ্তাহ ধরে করুন।

বেইকিং সোডা: এক কাপ পানিতে আধা চা-চামচ বেইকিং সোডা মেশান। তুলার বল ডুবিয়ে আঁচিলের ওপর ১৫ মিনিট রাখুন।

ডিম: ডিমের সাদা ও কুসুম মিশিয়ে আঁচিলের ওপর আলতোভাবে ঘষুন। দিনে দুবার দুই সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করুন। এই সময় আঁচিলের অংশে সাবান লাগানো যাবে না।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিকআঁচিলের ওপর পেঁয়াজ মাখুন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুনদিনে দুবার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করুনপ্রয়োজনে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারেন

ডাক্ট টেপ: বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডাক্ট টেপ কার্যকর। আঁচিলের ওপর টেপ ৩৫ দিন লাগিয়ে রাখুন। টেপের নিচের ত্বক নরম হলে ‘এমেরি বোর্ড’ বা ‘পুমাইস স্টোন’ দিয়ে আঁচিল কেটে ফেলা যায়। এরপর আবার টেপ লাগাতে হবে যতক্ষণ না আঁচিল পুরোপুরি চলে যায়।

টিপস

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আঁচিল সারাতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য রাখতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ও শরীর শুষ্ক রাখলে আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ঘরোয়া উপায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর, তবে যদি আঁচিল ব্যথা দেয়, দ্রুত বড় হয় বা সংক্রমণ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471