ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই পুলিশ কনস্টেবলকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুর্গাপুরে গণধোলাই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার দুই পুলিশ কনস্টেবল সাদা পোশাকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে (ক্লোজড) সংযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- দুর্গাপুর থানার জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের ড্রাইভার ইমরান আলী ও থানার কম্পিউটার অপারেটর মাজেদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে সজীব আহমেদ (২৫) অনলাইনের ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত। এমন অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল সজীবের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। অন্যথায় সজীবকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।

বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক হলে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ওই দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়।

জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ওই ছেলেকে (সজীব) চিনি না। সে আমাকে ডেকে নিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে যাইনি বা করিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

‘ধর্মের নামে রাজনীতির করা একটি দলের হাতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন’

দুই পুলিশ কনস্টেবলকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুর্গাপুরে গণধোলাই

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার দুই পুলিশ কনস্টেবল সাদা পোশাকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে (ক্লোজড) সংযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- দুর্গাপুর থানার জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের ড্রাইভার ইমরান আলী ও থানার কম্পিউটার অপারেটর মাজেদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে সজীব আহমেদ (২৫) অনলাইনের ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত। এমন অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল সজীবের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। অন্যথায় সজীবকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।

বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক হলে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় স্থানীয়রা ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ওই দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়।

জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ওই ছেলেকে (সজীব) চিনি না। সে আমাকে ডেকে নিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে যাইনি বা করিনি।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471