ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশেই পরিবারের বাইরে ঘনিষ্ঠদের দান করা যাবে কিডনি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ: আইন উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন আইনে পরিবারের সদস্য ছাড়াও অন্য ঘনিষ্ঠজনদের নিঃস্বার্থভাবে কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এখানে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হোক বা অন্য যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট করতে গেলে প্রচলিত আইনে রয়েছে যে পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। এতে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যেটা হতো অন্য কোনো দেশে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বাইরেও টাকা পয়সা দিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান যারা করবে তাদের থেকে টাকা পয়সা দিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা হতো।

তিনি বলেন, আমরা এইটা দূর থাকার জন্য শুধু পরিবারের সদস্য না, যাদের সঙ্গে ইমোশনাল এটাচমেন্ট (ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক) আছে, কাদের সঙ্গে এটা আমরা একটু ব্যাখ্যা করে বলব। তাদের কেউ যদি অন্য কাউকে নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে চায় সেটাকে আমরা লিগালাইজ (বৈধতা) করার স্কোপ (সুযোগ) করেছি।

আসিফ নজরুল বলেন, যাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের জন্য বিদেশে যেতে হতো, তারা বাংলাদেশে এখন প্রচলিত আইনের মধ্য থেকে এই কাজটা করার সুযোগ পাবেন আশা করি। এতে ব্যয়বহুল চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে, মানুষের অনেক ভোগান্তির হ্রাস পাবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, গণহত্যার দায়ে যার বিচার হচ্ছে উনার যে বাসভবন যেটা উনি ব্যবহার করতেন সেটাকে জুলাই জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা আলাদা জাদুঘর হবে। এটা আমাদের জাতীয় জাদুঘরের কোনো শাখা প্রশাসন হবে না। এটার গুরুত্ব এবং এটার আবেদন বিবেচনা করে এটাকে সম্পূর্ণ একটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই অধ্যাদেশটা করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল জানান, এই অধ্যাদেশের আলোকে বিভিন্ন জায়গা যে আয়নাঘর আছে সেখানে সেখানে শাখা জাদুঘর হিসেবেও জুলাই জাদুঘর সম্প্রসারণ করতে পারবে। এই ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

‘ধর্মের নামে রাজনীতির করা একটি দলের হাতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন’

দেশেই পরিবারের বাইরে ঘনিষ্ঠদের দান করা যাবে কিডনি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ: আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন আইনে পরিবারের সদস্য ছাড়াও অন্য ঘনিষ্ঠজনদের নিঃস্বার্থভাবে কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এখানে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হোক বা অন্য যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট করতে গেলে প্রচলিত আইনে রয়েছে যে পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। এতে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যেটা হতো অন্য কোনো দেশে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বাইরেও টাকা পয়সা দিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান যারা করবে তাদের থেকে টাকা পয়সা দিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা হতো।

তিনি বলেন, আমরা এইটা দূর থাকার জন্য শুধু পরিবারের সদস্য না, যাদের সঙ্গে ইমোশনাল এটাচমেন্ট (ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক) আছে, কাদের সঙ্গে এটা আমরা একটু ব্যাখ্যা করে বলব। তাদের কেউ যদি অন্য কাউকে নিঃস্বার্থভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে চায় সেটাকে আমরা লিগালাইজ (বৈধতা) করার স্কোপ (সুযোগ) করেছি।

আসিফ নজরুল বলেন, যাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের জন্য বিদেশে যেতে হতো, তারা বাংলাদেশে এখন প্রচলিত আইনের মধ্য থেকে এই কাজটা করার সুযোগ পাবেন আশা করি। এতে ব্যয়বহুল চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে, মানুষের অনেক ভোগান্তির হ্রাস পাবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, গণহত্যার দায়ে যার বিচার হচ্ছে উনার যে বাসভবন যেটা উনি ব্যবহার করতেন সেটাকে জুলাই জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা আলাদা জাদুঘর হবে। এটা আমাদের জাতীয় জাদুঘরের কোনো শাখা প্রশাসন হবে না। এটার গুরুত্ব এবং এটার আবেদন বিবেচনা করে এটাকে সম্পূর্ণ একটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই অধ্যাদেশটা করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল জানান, এই অধ্যাদেশের আলোকে বিভিন্ন জায়গা যে আয়নাঘর আছে সেখানে সেখানে শাখা জাদুঘর হিসেবেও জুলাই জাদুঘর সম্প্রসারণ করতে পারবে। এই ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471