ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক, ভোটে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ঘোষণা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়।

বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে কমপক্ষে ১০ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি। দলের প্রধান ক্রিস্টোফার জে. ফাসনার বলেন, সব দলই নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার একটি ইতিবাচক পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। যা সত্যিই আনন্দদায়ক। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ভোটের সময় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি সহিংসতার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করবে। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছবি বিকৃতি ও জনমত প্রভাবিত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বা ডিসইনফরমেশন একটি গুরুতর সমস্যা। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি। এটি পরিকল্পিত, অর্থায়িত এবং তা মুহূর্তেই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সত্য প্রকাশ পেতে পেতে মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথে রয়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স ২৭ বছরের নিচে। তারা জীবনে প্রথমবার ভোট দেবে। আমরা চাই যুবকরা সন্তুষ্ট থাকুক। এ সময় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই চার্টার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক অনন্য মাইলফলক। তাতে সব রাজনৈতিক দল সংস্কারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই সনদ নির্বাচনের পথে আমাদের আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। অধিকাংশ দলই এরইমধ্যে সনদে স্বাক্ষর করেছে, বাকি দলগুলোও শিগগিরই তাতে সই করবে বলে আশা করছি।

প্রতিনিধি দলটি আরও ছিলেন, সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি (সিএনএএস)-এর সিনিয়র ফেলো ও ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক লিসা কার্টিস, আইআরআই-এর গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আইআরআই-এর রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সাইমা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান। বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য প্রধান সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই প্রতিনিধি দলটির বৈঠক করার কথা রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

‘ধর্মের নামে রাজনীতির করা একটি দলের হাতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক, ভোটে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ঘোষণা

আপডেট সময় ১২:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়।

বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে কমপক্ষে ১০ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি। দলের প্রধান ক্রিস্টোফার জে. ফাসনার বলেন, সব দলই নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার একটি ইতিবাচক পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। যা সত্যিই আনন্দদায়ক। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ভোটের সময় পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি সহিংসতার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করবে। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ছবি বিকৃতি ও জনমত প্রভাবিত করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বা ডিসইনফরমেশন একটি গুরুতর সমস্যা। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি। এটি পরিকল্পিত, অর্থায়িত এবং তা মুহূর্তেই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সত্য প্রকাশ পেতে পেতে মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথে রয়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স ২৭ বছরের নিচে। তারা জীবনে প্রথমবার ভোট দেবে। আমরা চাই যুবকরা সন্তুষ্ট থাকুক। এ সময় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই চার্টার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক অনন্য মাইলফলক। তাতে সব রাজনৈতিক দল সংস্কারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই সনদ নির্বাচনের পথে আমাদের আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। অধিকাংশ দলই এরইমধ্যে সনদে স্বাক্ষর করেছে, বাকি দলগুলোও শিগগিরই তাতে সই করবে বলে আশা করছি।

প্রতিনিধি দলটি আরও ছিলেন, সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি (সিএনএএস)-এর সিনিয়র ফেলো ও ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক লিসা কার্টিস, আইআরআই-এর গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ক কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আইআরআই-এর রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সাইমা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)-এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান। বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য প্রধান সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই প্রতিনিধি দলটির বৈঠক করার কথা রয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471