ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রুমিন ফারহানার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

জামায়াত ইসলামীর কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেছেন, জামায়াত বলে এক, করে আরেক, ভাবে আরেক, দৃশ্যমান করে এক, অদৃশ্য থাকে আরেক। এনসিপি, বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কথা যদি বলি; এসব দল প্রত্যেকেই কি করছে আর কি বলছে, সেটার মিল পাওয়া যায়। একটা ব্যালেন্স খুঁজে পাওয়া যায়।

কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কি বলছে আর কি করছে, এটার কোনো মিল নেই।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে পিআর ইস্যুতে জামায়াতের প্রসঙ্গে টেনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় এনসিপির প্রতীক ইস্যুতে রুমিন ফারহানা বলেন, এনসিপি গণঅভ্যুত্থানের পরে তৈরি হওয়া একটি নতুন দল। দেশের মানুষের দোয়া ভালোবাসা দলটির সঙ্গে আছে।

আমরা একটু অবাক হই, যখন শাপলা প্রতীক নিয়ে একেবারে অনড় অবস্থানে দলটি চলে যায়। শাপলা প্রতীক পেলেই কি ভোট বেশি পাওয়া যাবে? বা জেতার সম্ভাবনা হবে কিংবা আসন সংখ্যা বেশি পাবে? বিষয়টা তো আসলে সেরকম নয়।

তিনি আরও বলেন, একটা মার্কা ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে তখনই, যখন দীর্ঘ সময়ে একটা দল তার কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে গণ মানুষের ভেতরে আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠে। আপামর জনসাধারণ তো আর হবে না। কিন্তু আপামর জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের মনে আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠে। যখন দল সেই প্রতীকটা হয়ে ওঠে, তখন মার্কাটাও ধীরে ধীরে সেই জায়গাটা লাভ করে।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে দেখেছি হয় নৌকা, না হলে ধানের শীষ, হয় ধানের শীষ, না হলে নৌকা অর্থাৎ এই দুটো মার্কা একেবারে মানুষের ভেতরে মননে মগজে মজ্জায় গেছে। কিন্তু শাপলা তো সেরকম না। শাপলা কিংবা পদ্ম বা গোলাপ যেটাই হোক একটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সেইটা ব্র্যান্ডটা তৈরি করতে হবে।

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি, যদি শাপলা না দেওয়া হয়, তাহলে মনে হবে নির্বাচনের আগেই দলটি (এনসিপি) হেরে গেছে এবং এই পরাজয়টা কিন্তু তারা নিজেরা বরণ করে নিচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

‘ধর্মের নামে রাজনীতির করা একটি দলের হাতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন’

জামায়াতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রুমিন ফারহানার

আপডেট সময় ১২:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

জামায়াত ইসলামীর কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেছেন, জামায়াত বলে এক, করে আরেক, ভাবে আরেক, দৃশ্যমান করে এক, অদৃশ্য থাকে আরেক। এনসিপি, বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কথা যদি বলি; এসব দল প্রত্যেকেই কি করছে আর কি বলছে, সেটার মিল পাওয়া যায়। একটা ব্যালেন্স খুঁজে পাওয়া যায়।

কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কি বলছে আর কি করছে, এটার কোনো মিল নেই।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে পিআর ইস্যুতে জামায়াতের প্রসঙ্গে টেনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় এনসিপির প্রতীক ইস্যুতে রুমিন ফারহানা বলেন, এনসিপি গণঅভ্যুত্থানের পরে তৈরি হওয়া একটি নতুন দল। দেশের মানুষের দোয়া ভালোবাসা দলটির সঙ্গে আছে।

আমরা একটু অবাক হই, যখন শাপলা প্রতীক নিয়ে একেবারে অনড় অবস্থানে দলটি চলে যায়। শাপলা প্রতীক পেলেই কি ভোট বেশি পাওয়া যাবে? বা জেতার সম্ভাবনা হবে কিংবা আসন সংখ্যা বেশি পাবে? বিষয়টা তো আসলে সেরকম নয়।

তিনি আরও বলেন, একটা মার্কা ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে তখনই, যখন দীর্ঘ সময়ে একটা দল তার কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে গণ মানুষের ভেতরে আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠে। আপামর জনসাধারণ তো আর হবে না। কিন্তু আপামর জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের মনে আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠে। যখন দল সেই প্রতীকটা হয়ে ওঠে, তখন মার্কাটাও ধীরে ধীরে সেই জায়গাটা লাভ করে।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে দেখেছি হয় নৌকা, না হলে ধানের শীষ, হয় ধানের শীষ, না হলে নৌকা অর্থাৎ এই দুটো মার্কা একেবারে মানুষের ভেতরে মননে মগজে মজ্জায় গেছে। কিন্তু শাপলা তো সেরকম না। শাপলা কিংবা পদ্ম বা গোলাপ যেটাই হোক একটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সেইটা ব্র্যান্ডটা তৈরি করতে হবে।

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি, যদি শাপলা না দেওয়া হয়, তাহলে মনে হবে নির্বাচনের আগেই দলটি (এনসিপি) হেরে গেছে এবং এই পরাজয়টা কিন্তু তারা নিজেরা বরণ করে নিচ্ছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471