গত ১২ বছরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একাধিকবার আগুনের ঘটনা ঘটেছে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরে এমন পুনরাবৃত্ত ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন করে উদ্বেগ।
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল কার্গো সেকশনের কুরিয়ার সার্ভিস অংশের একটি গুদামে আগুন লাগে। সেই সময়, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।
২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তার দপ্তরে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সৌভাগ্যবশত দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলা হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যায়।
২০১৭ সালের ১১ আগস্ট বিমানবন্দরের মূল ভবনের ২ নম্বর টার্মিনালের তৃতীয় তলায় আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার অফিস থেকে।
২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ফোমসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) আবার আগুন লাগে বিমানবন্দরে। এবার আগুন লাগে বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে একথা জানান তিনি।
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়।
এ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন কার্গো ভিলেজ হাউসে আগুন লাগে। হঠাৎ করেই সেখানে ধোঁয়া বের হওয়া শুরু হয়। তারপর তা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
নিজস্ব সংবাদ : 




















