ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে দেশে মানুষের চেয়ে বিড়াল বেশি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ভূমধ্যসাগরের পূর্ব কোণের ছোট্ট দ্বীপদেশ সাইপ্রাস। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১০ লাখের কিছু বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নটি এক অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছে। দেশটিতে এখন মানুষপ্রতি একটি বিড়াল। খবর এপি’র।

যদিও কেউ কেউ দাবি করেন, আদতে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের চেয়েও বেশি।

মধুর এ যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে সাইপ্রাসে সরকারিভাবে বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালু আছে। কিন্তু এরপরও বিড়ালের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তাই দাবি উঠেছে, বিড়ালের প্রজননক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করতে বর্তমান প্রকল্প যথেষ্ট নয়।

গত মাসের শেষের দিকে সাইপ্রাসের পার্লামেন্টের পরিবেশবিষয়ক কমিটি থেকেই এই দাবি তোলা হয়। পরিবেশ কমিশনার অ্যান্টোনিয়া থিওদোসিওউ বলেন, এটা (বর্তমান) ভালো প্রকল্প, কিন্তু এর আরও বিস্তার ঘটানো দরকার।

বর্তমান প্রকল্পে বছরে মাত্র দুই হাজার বিড়ালকে স্টেরিলাইজেশন বা প্রজনন অক্ষম করা হয়। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ মাত্র এক লাখ ইউরো।

সাইপ্রাসে বিড়াল ও মানুষের সংখ্যাগত অনুপাত ঠিক কত, তার আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই। তবে পরিবেশ কমিশনার থিওদোসিওউ বলেন, সাইপ্রাসকে এখন সবাই মানুষের চেয়ে বেশি বিড়াল থাকা দেশ হিসেবে চেনে।

পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে বিড়ালকে প্রজনন অক্ষম করার প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। কিন্তু শুধু অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে বিড়াল সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?

সাইপ্রাসের মানুষ বিড়ালপ্রেমী। বিড়ালের প্রতি তাদের ভালোবাসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে দেশটিতে সড়কের পাশে বিড়ালের খাবারভর্তি পাত্র আর সেগুলোর জন্য ছোট ছোট ঘর দেখা যায়।

সাইপ্রাসের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তির একটি হচ্ছে পর্যটন। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক বিড়াল দেখতে দেশটিতে আসেন। তাই বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

যে দেশে মানুষের চেয়ে বিড়াল বেশি

আপডেট সময় ০২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ভূমধ্যসাগরের পূর্ব কোণের ছোট্ট দ্বীপদেশ সাইপ্রাস। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১০ লাখের কিছু বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নটি এক অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছে। দেশটিতে এখন মানুষপ্রতি একটি বিড়াল। খবর এপি’র।

যদিও কেউ কেউ দাবি করেন, আদতে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের চেয়েও বেশি।

মধুর এ যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে সাইপ্রাসে সরকারিভাবে বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালু আছে। কিন্তু এরপরও বিড়ালের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তাই দাবি উঠেছে, বিড়ালের প্রজননক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করতে বর্তমান প্রকল্প যথেষ্ট নয়।

গত মাসের শেষের দিকে সাইপ্রাসের পার্লামেন্টের পরিবেশবিষয়ক কমিটি থেকেই এই দাবি তোলা হয়। পরিবেশ কমিশনার অ্যান্টোনিয়া থিওদোসিওউ বলেন, এটা (বর্তমান) ভালো প্রকল্প, কিন্তু এর আরও বিস্তার ঘটানো দরকার।

বর্তমান প্রকল্পে বছরে মাত্র দুই হাজার বিড়ালকে স্টেরিলাইজেশন বা প্রজনন অক্ষম করা হয়। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ মাত্র এক লাখ ইউরো।

সাইপ্রাসে বিড়াল ও মানুষের সংখ্যাগত অনুপাত ঠিক কত, তার আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই। তবে পরিবেশ কমিশনার থিওদোসিওউ বলেন, সাইপ্রাসকে এখন সবাই মানুষের চেয়ে বেশি বিড়াল থাকা দেশ হিসেবে চেনে।

পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে বিড়ালকে প্রজনন অক্ষম করার প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। কিন্তু শুধু অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে বিড়াল সমস্যার সমাধান কি সম্ভব?

সাইপ্রাসের মানুষ বিড়ালপ্রেমী। বিড়ালের প্রতি তাদের ভালোবাসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে দেশটিতে সড়কের পাশে বিড়ালের খাবারভর্তি পাত্র আর সেগুলোর জন্য ছোট ছোট ঘর দেখা যায়।

সাইপ্রাসের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তির একটি হচ্ছে পর্যটন। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক বিড়াল দেখতে দেশটিতে আসেন। তাই বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home/somokontho/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471